বর্তমানে আমাদের সমাজের অবস্থা এমন হয়েছে যে, সমাজের কিছু লোকের দৃষ্টি ফরজ ওয়াজিবের চাইতে সুন্নত ও মুস্তাহাবের দিকেই বেশি। বিশেষ করে দাড়ি রাখা, নামাজে হাত বাঁধা না বাঁধা, হাত নাভিতে বা বুকের উপরে বাঁধা, ইত্যাদি ইত্যাদি নানান বিষয় অথচ তার জন্য পর্দাটাকে ফরজ করা হয়েছে। সে বলতে পারে ”আমি পুরুষ”। অথচ আল্লাহ তায়ালা নারীর পর্দার অগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন।

মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত(৩০)।
আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার(৩১)। (আন-নূর-২৪ : ৩০-৩১)


উপর্যুক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীর পর্দার আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছেন। অর্থাৎ সকলের জন্য পর্দা প্রযোজ্য। তাছাড়াও অন্যান্য ফরজ আমরা মেনে চলতে চেষ্টা করব। অযথা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করবনা। অমরা সেটাই মনব যেটা কুরআন ও সহিহ হাদিস সম্মত অথবা এর উপর কিয়াস(মতানঐক্য) কায়েম হয়েছে। কোনো বিসয় জানতে হলে আলেমদের নিকট থেকে জানব। অথবা ভাল কোনো ওয়েবসাইট (https://hadithbd.com/) বা এপস থেকে রেফারেন্স সহ কুরআন ও সহিহ হাদিস পরব।ইংশাল্লাহ। আল্লাহ যেন সকলের নেক ইচ্ছা পূর করেন।আমিন।