Post Ticker

6/recent/ticker-posts

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম..........

 



আজকের যুব সমাজের কাছে মাদক, ধুমপানের মতো মারাত্বক যে ব্যধিটি দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে “বিয়ের পূর্বে অবৈধ প্রেম বা সম্পর্ক”। এই ক্ষেত্রে সমাজ ও এখন আর তেমন কোনো বাধা দেয় না। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে ইসলামী জ্ঞানের অভাব এবং আজকের যুগের অপসংস্কৃতি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে-
বিবাহের পূর্বে প্রেম করা কি ইসলামে জায়েজ?
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। আল্লহ তায়ালা সূরা আল মায়িদা’র ৫ নাম্বার আয়াতে বলেন-
”তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর তাদেরকে স্ত্রী করার জন্যে, কামবাসনা চরিতার্থ করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়”
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে। ৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম। জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮) জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ। বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালভাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালভাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ (সূরা বাকারাঃ১৬৫)।

এবার নজর দেওয়া যাক রাসূল (স:) -এর হাদিসের দিকে। এই বিষয়ে তিনি কী বলেন।

শরিয়তের আলোকে বিবাহের পুর্বে বেগানা নারী পুরুষের মাঝে গড়ে প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ অবৈধ ও হারাম। এর মাধ্যমে বেগানা নারী পুরুষের পারস্পরিক দেখা সাক্ষাত ফোনে প্রেম আলাপ সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়েজ। যদি দেখা সাক্ষাত কথাবার্তা নাও করে তবু মনে মনে কল্পনা করে তৃপ্তি অনূভব করার দ্বারা অন্তরের যিনা হয় যাহা হারাম ও কবিরা গুনাহ। সুতরাং ইহা থেকে খালেস ভাবে তাওবা করতে হবে।
(মুসলিম ২ /৩৩৬, বাওয়াদিরুন নাওয়াদির ৭০০)


মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের এই হারাম কাজ থেক হিফাজত করুন।

-আমীন

Post a Comment

0 Comments