Post Ticker

6/recent/ticker-posts

হিজরী সনের ইতিহাস

 


আরবি সপ্তাহ

(১) يوم الاحد ( ইয়াওমুল আহাদ ) = রবিবার।

(২) يوم الاثنين ( ইয়াওমুল ইছনাইন) =সোমবার।

(৩) يوم الثلاثاء ( ইয়াওমুছ ছুলাছা ) = মঙ্গলবার ।

(৪) يوم الاربعاء ( ইয়াওমুল আরবিয়া ) = বুধবার।

(৫) يوم الخميس ( ইয়াওমুল খামীস) = বৃহস্পতিবার।

(৬) يوم الجمعة ( ইয়াওমুল জুমুয়া ) = শুক্রবার।

(৭) يوم السبت ( ইয়াওমুস সাব্ত ) = শনিবার।

এখানে লক্ষনীয় যে, বাংলা এবং ইংরেজীতে বারের নাম ও মাসের নাম বিভিন্ন দেব দেবীর নাম অনুসারে রাখা হলেও আরবি বারের নাম গুলে ক্রমান্বয়ে রাখা হয়েছে, এখানে কোনো দেব-দেবীর নাম গ্রহন করা হয়নি। 

একটু খেয়াল করলে দেথা যাবে, আরবি শব্দ يوم (ইয়াওমা) আয়াম শব্দ থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার অর্খ দিন, আর يوم এর পরে সংখ্যা বাচক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন: আহাদা অর্থ এক, ইসনাইন (ইসনান) দুই, ..........

অর্খাৎ, বরি বার হচ্ছে প্রথম দিন, সোমবার হচ্ছে দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার হচ্ছে তৃতীয়দিন, বুধবার চতুর্থ দিন, বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিন, শুক্রবার জুম’আ -র দিন বা ষষ্ঠ দিন এবং শেষে শনিবার সপ্তম দিন 


আরবি মাস

মহররম: জাহেলি যুগে এই মাসে কোনো ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ ও রক্তপাত করা হারাম ও অবৈধ ছিল বলে এই মাসকে মুহাররমুল হারাম নামকরণ করা হয়েছে।

সফর: সফর শব্দটি সিফর থেকে নির্গত। এর অর্থ শূন্য হওয়া, জাহেলি যুগে সফর মাসে লোকেরা যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেলে ঘর শূন্য হয়ে যেত, তাই সফরের মাসের নাম সফর রাখা হয়েছে।

রবিউল আউয়াল: এই মাসের নামকরণকালে ফসলে রবি, অর্থাৎ বসন্তকাল ছিল। তাই এর নামকরণ হয়েছে রবিউল আউয়াল।

রবিউস সানি: এর নামকরণকালে বসন্তের শেষার্ধে পড়ার কারণে রবিউল আখের বা শেষ বসন্ত নাম রাখা হয়।

জুমাদাল উলা: জুমাদা শব্দটি এসেছে জুমুদ থেকে, যার অর্থ জমে যাওয়া, স্থবির হওয়া। যখন এই মাসের নাম রাখা হয়, তখন ঠাণ্ডার মৌসুম আরম্ভ হয়, কেননা ঠাণ্ডার কারণে বেশির ভাগ জিনিস জমে যায়। এ জন্য এ মাসের নাম এভাবে রাখা হয়।

জুমাদাল উখরা: এই মাসের নাম রাখার কারণ হচ্ছে, এই মাসের শেষে শীতের প্রচণ্ডতায় পানি পর্যন্ত জমে যেত।

রজব: রজব শব্দটি রজিব থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো সম্মান করা। আরববাসী যেহেতু এ মাসকে সম্মান করত এবং শাহরুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর মাস বলত, তাই এ মাসের নাম রজব বা সম্মানিত মাস রাখা হয়।

শাবান: শাবান শাব শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এর অর্থ হলো বের হওয়া, প্রকাশ হওয়া, বিদীর্ণ হওয়া। যেহেতু এ মাসে বিপুল কল্যাণ প্রকাশিত হয়, মানুষের রিজিক উৎপাদন ও বণ্টিত হয় এবং তাকদিরের ফয়সালাগুলোও বণ্টন করে দেওয়া হয়। তাই এ মাসের নাম শাবান রাখা হয়েছে।

রমজান: রমজান শব্দের মূল অর্থ হচ্ছে জ্বালানো-পোড়ানো। যেহেতু এই মাসে মুমিনের গুনাহগুলো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হয়। এ মাসের নাম রমজান রাখা হয়।

শাওয়াল: শাওয়াল শব্দটি ‘শাওল’ মূলধাতু থেকে নির্গত, অর্থ বাইরে গমন করা। এখানে আরববাসী নিজ ঘরবাড়ি ত্যাগ করে ভ্রমণে যেত। তাই এর নামকরণ করা হয় শাওয়াল।

জুলকদ/জিলকদ: ‘জুল/জিল’ অর্থ ওয়ালা আর ‘কাদাহ’ অর্থ বসা, যেহেতু এ মাস সম্মানিত মাসের একটি। আরবরা এ মাসে যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে বাড়িতে বসে থাকত।

জুলহজ/জিলহজ: জুলহজ/জিলহজ শব্দটি সম্ভবত হাজ্জাহ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর অর্থ একবার হজ করা। অথবা শব্দটি ‘হিজ’ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে। এর মানে অর্থবছর। যেহেতু এই মাস বছরের শেষাংশে আসে এবং এর দ্বারাই পূর্ণ বছরের সমাপ্তি ঘটে, তাই এই মাসের নামকরণ হয়েছে জুলহজ/জিলহজ।

Post a Comment

0 Comments