রাসূল (স) বলেছেন, “একটি মাত্র আয়াত হলেও তা আমার পক্ষ থেকে প্রচার করো।” কীভাবে প্রচার করব, সেই আয়াত? অনেকের মনে করেন মানুষদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়াই আমাদের কর্তব্য সত্যি কি তাই? অমি যেমন খুশি দাওয়াত দেব তাই কি হয়ে যাবে? নাহ! দাওয়াত যেমন খুশি তেমন ভাবেই দেওয়া যাবেনা। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পন্থা আছে। সেটি হল:
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡهُمۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِهٖ وَ هُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِیۡنَ ﴿۱۲۵﴾
তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন। (সূরা-১৬: আন-নাহাল, আয়াত: ১২৫)
অর্থাৎ, দাওয়াত হওয়া দরকার যথাযথ। দাওয়াত দেয়ার সময় একটু বুদ্ধি কাটানাে উচিত। এই বিষয়ে কারো সাথে তর্ক করতে হলে সেই পন্থাই অবলম্বন করা উচিত যা উত্তম পন্থা। আবার মনে রাখা ভাল এই ব্যাপারে বিধর্মী দের বিশ্বাস করা স্রষ্টা-কে গালি-গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকতে হবে, তাদের কে দাওয়াত দেওয়ার জন্য যুক্তি তর্ক ব্যবহার করাই ভাল। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَ لَا تَسُبُّوا الَّذِیۡنَ یَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَیَسُبُّوا اللّٰهَ عَدۡوًۢا بِغَیۡرِ عِلۡمٍ ؕ
তারা আল্লাহ বাদে যাকে ডাকে, তাদের তোমরা কোনও গালি-গালাজ করো না, নইলে শত্রুতা বশবর্তী হয়ে না জেনে আল্লাহ তায়ালাকে তারা গালি দেবে; (সূরা-০৬: আন’আম, আয়াত-১০৮)
তাফসীরে বায়যাভী; আইসারুত তাফসীর এই আয়াতের শানইনজুল সম্পর্কে বলা হয়েছে : কুরাইশ সর্দাররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললঃ হয় তুমি আমাদের উপাস্য প্রতিমাদেরকে মন্দ বলা থেকে বিরত হও, না হয় আমরা তোমার প্রভুকে গালি দিবো। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আলোচ্য আয়াত নাযিল হয়।
সুতরাং আমাদের উচিৎ সর্বউৎকৃষ্ট পন্থাই মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা।আল্লাহ যেন আমাদের এই চেষ্টাকে সফল করতে সাহায্য করেন।